HOW TO PREPARE FOR IELTS: বাংলায় আইইএলটিএস এর প্রস্তুতি : ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ বিষয়
- Get link
- X
- Other Apps
১। পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা উচিত পরীক্ষার তারিখের কমপক্ষে দুই বা তিন মাস আগে থেকে। যদি এক মাস প্রস্তুতি নেয়া যায় তাহলে খুবইভালো। তার আগে পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে তারপর প্রস্তুতি শুরু করা উচিৎ। নইলে অনেক সময় নষ্ট হয়।
২। প্রাথমিক ধারনা পেতে এই ওয়েবসাইট গুলো explore করা যেতে পারেঃ
৩। প্র্যাকটিস,প্র্যাকটিস, প্র্যাকটিস! IELTS পরীক্ষায় সাফল্যের মূল হাতিয়ার প্র্যাকটিস করা। তার মানে বেশী বেশী স্যাম্পল পরীক্ষা দেয়া। ক্যামব্রিজ সিরিজের বই, ব্রিটিশ কাউন্সিলের বই, ইন্টারনেট। IELTS পরীক্ষা এমনিতে বেশ সহজ কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সময়ের স্বল্পতা। তাই পরীক্ষা গুলো দেয়া উচিত ঘড়ি ধরে, নির্দিষ্ট সময়ের দুই এক মিনিট আগে শেষ করে ফেলতে পারলে খুব ভাল। প্রথম দিকে স্কোর খারাপ আসবে, সেক্ষেত্রে কোন এরিয়াতে বেশি খারাপ হচ্ছে এবং কেন হচ্ছে সেটা বুঝতে না পারলে একজন অভিজ্ঞ ট্রেইনারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। IELTS পরীক্ষায় লিখতে হয় পেন্সিল দিয়ে। তাই চর্চার সময় পেন্সিল দিয়েই লিখা উচিত।
৪। মূল পরীক্ষা ৪ ভাগে বিভক্ত: Listening, Speaking, Reading এবং Writing. এর মধ্যে Listening, Reading Writing এই ৩টা টেস্ট একদিনে নেয়া হয় আর স্পিকিং পার্ট আলাদা আরেকদিন টেস্ট নেয়া হয়।
৫। বই দিয়ে প্র্যাকটিস এর জন্য প্রথমে কিনতে হবে ক্যামব্রিজ সিরিজের IELTS Book 10-14 বেসিক প্যাটার্ন বোঝার জন্য। প্রতিটি বই এ কমপ্লিটটেস্ট আছে ৪টা, আর বই এর সাথে লিসেনিং টেস্টের জন্য সিডি দেয়া হয়। যদিও এখন সব লিসেনিং ইউটিউব এ পাওয়া যায়। এই বইগুলো টেস্ট পেপার অর্থ্যাৎ আগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। সতুরাং, এগুলোর মতোই পরীক্ষা হবে।
৬। Marks Distribution: লিসেনিং ৪০, রীডিং ৪০, রাইটিং ৯, স্পীকিং ৯। নিচের লিঙ্কেগেলে মার্কিং স্কিম দেখা যাবে, যা দিয়ে নিজের টার্গেট সেট করতে পারবেন যে প্রতি পার্টে আপনার কি রকম স্কোর করার টার্গেট নিতে হবে:
- Listening: এটার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বইগুলার লিসেনিংটেস্ট গুলো দিই চলবে। পুরো টেস্ট ৪ ভাগে বিভক্ত। ১ সবচেয়ে সহজ, ৪ সবচেয়ে কঠিন। এইটেস্ট এর প্রতি পার্ট এ প্রশ্ন পড়ার জন্য কিছুটা সময় দেয়া হয়। চেষ্টা করতে হবে যে ওইসময়ের মধ্যে যাতে পুরো প্রশ্ন এবং প্রশ্নের শুরুতে দেয়া ইন্সট্রাকশন একবার পড়ে ফেলাযায়। প্রশ্নের শুরুতে দেয়া ইন্সট্রাকশনগুলোখুবী গুরুত্বপূর্ন, এগুলো খেয়াল করতে হবে। লিসেনিং এ সাধারণত প্রতিটা প্রশ্নের উত্তরক্রমানুসারে বলা হয়, আগের উত্তর পরে আর পরের উত্তর আগে বলা হল এমন করা হয় না। এটারঅসুবিধা সুবিধা দুইটাই আছে, একবার উত্তর মিস করলে যেমন আবার রিপ্লে করে শোনার উপায়নাই কারণ টেপটা একবারই শোনানো হবে, তেমনি যদি মনোযোগ ধরে রাখা যায় তাহলে সবগুলো প্রশ্নেরইসঠিক উত্তর দেয়া সম্ভব।
- READING: এই পার্টটার জন্যও বইয়ের টেস্ট গুলো প্র্যাকটিসকরলেই চলবে। এই পার্টে থাকে ৩টা ভাগ, ৩ ভাগে ৩টা প্যাসেজ, প্রথমটা সবচেয়ে সহজ, এরপরথেকে আস্তে আস্তে কঠিন হতে থাকে। এই পার্টের মূল সমস্যা সময়। ৪০টা প্রশ্ন উত্তর করতেসময় দেয়া হয় ৬০ মিনিট। এর মাঝে ৩টা বড় বড় প্যাসেজ পড়ে সেখান থেকে প্রশ্নের উত্তর করতেহবে।
এখানে সময় বাঁচাতে যেটা করা যেতে পারে, প্রথমে সময় ভাগ করে নিতে হবে। ৩ প্যাসেজে ২০ঃ ২০ঃ ২০ করে না দিয়ে ১৫ঃ২০ঃ২৫ মিনিট করে সময় ভাগ করে নিলে ভালো হয়।
প্রতিটা প্যাসেজ সাধারণত কয়েক প্যারাতে ভাগ করা থাকে। একবার রিডিং করলে সাধারণত প্যাসেজ বুঝে প্রশ্নেরউত্তর করা যায় না। তাই প্রথমে একবার প্যাসেজের প্রতি প্যারার প্রথম লাইন একবার করে পড়ে ফেলতে হবে। এটা করে ফেলতে হবে দেড়-দুই মিনিটের মধ্যে। তারপর ঐ পার্টের প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলতে হবে। প্রশ্ন পড়ার সময় কী-ওয়ার্ড দাগিয়ে ফেলতে হবে তাহলে পরে উত্তর খুঁজে পেতে খুব সুবিধা হয়। তারপরে প্যাসেজটা একটা thorough reading দিতে হবে, সাথে সাথে উত্তরগুলোও খুঁজতে হবে।
দ্বিতীয়রিডিং এর সময়ও খুব বেশি সময় নেয়া যাবে না, যতটুকু বোঝা যায় তার মাঝেই উত্তর করে ফেলা ভালো। নইলে পরে কোন একটা প্যাসেজ যদি বাদ পরে সময়ের জন্য তাহলে মার্ক অনেক কমে যাবে।কিছু প্রশ্নের উত্তর কোনভাবেই বোঝা যাবে না কি হবে, সেগুলো একদম খালি না রেখে Wise guessing Answer দিয়ে আসা উচিৎ, এটা অনেক সময় সঠিক হয়ে যায়।
- Writing: Writing পার্ট এ থাকে দুইটি Task রাইটিং। প্রথমটার জন্য Graph, Table, Chart, Map, Flow chart দেওয়া থাকে। যে ইনফরমেশন দেয়া থাকে তার উপর ভিত্তি করেই ছোট একটা প্যসেজ (মিনিমাম ১৫০ ওয়ার্ডস্) লিখতে হয় ২০ মিনিটে মধ্যে। আর Task 2 এ একটা বড় কম্পোজিশন লিখতে হয় (মিনিমাম ২৫০ ওয়ার্ডস্) ৪০ মিনিটে। এটার জন্য সাধারণত শুধু টপিক বা কোন একটা সিচুয়াশনের উপর ১/দেড় লাইন বলে দেয়া থাকে, যার উপরে ভিত্তি করে পুরো প্যাসেজ লিখতে হয়।
*** Writing এর প্র্যাকটিস এর জন্য মূলত সময় কম পাওয়া যায়। কিন্তু এই পার্টে ভাল স্কোর যেকোন ভার্সিটির Research Related কাজের জন্য জরুরী হতে পারে। তাই হাতে সময় কম থাকলে যেটা করা যেতে পারে: দৈনিক অন্তত একটা পুরা রাইটিং টাস্ক (টাস্ক১+ টাস্ক২) ঘড়ি ধরে লিখে ফেলা।
- Task 1 এ সাধারণত চার্ট বা ছবিতে কিছু ইনফরমেশন দেয়া থাকে, তার উপর ভিত্তি করে একটা Report লিখতে হয়। লেখাটার মাঝে গিভেন ইনফরমেশনও থাকবে ,আবার এই ইনফরমেশনের উপর ভিত্তি করে যদি কোনরকম তুলনা করা যায় ( যেমন, চার্টে এমন তথ্য দেয়া আছে যেখানে কোন বছরে TV viewers সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে বেশি) তাহলে সেটাও বলতে হবে।
- ক্যামব্রিজের বই এর পিছনে যে সলিউশন আছে সেখানের দুই একটা উত্তর দেখলে এই পার্টটা আরো ভাল বুঝা যাবে। এই পার্টে দেখা যাবে একি ধরনের কথা বারবার লিখতে হচ্ছে, কিন্তু যদি এরকম একটা রিপিটিটিভ Report লিখা হয় স্বাভাবিকভাবেই Band Score কমে যাবে। তাই চেষ্টা করতে হবে সেন্টেন্সের Pattern Change করে লিখার জন্য। এজন্য একটা Sentence Active Voice, and another Passive Voice লিখা যায়, Linking words use করতে হবে। এছাড়াও দেখা যাবে অনেক ক্ষেত্রেই গিভেন ডাটা বাড়া- কমার কথাটা বারবার লিখতে হয়। এজন্য increase-decrease এই দুইটা ওয়ার্ডের কিছু synonym মুখস্ত করে ফেললে লিখার সময় variation আনতে অনেক কাজে লাগে।
- Task 2 তে একটা Topic দেয়া থাকে, এক/দু্ই লাইন লেখা থাকে এটার উপরে, আর কোন তথ্য দেয়া থাকে না। তাই টাস্ক ২ অনেকটা ফ্রি রাইটিং এর মত, ইচ্ছামতন লেখা যায়। তবে সময় যেহেতু কম খুব বেশি লেখার সুযোগ থাকে না। এই পার্টটার প্র্যাকটিসের জন্য প্রথমে দুই- তিন মিনিট সময় নিয়ে কিছু পয়েন্ট লিখে ফেলা যায় ( Introduction, advantages, disadvantages,uses, conclusion এই টাইপ ) তারপরে প্রতি পয়েন্টের ভিতরে মোটামুটি নিজের মাথা থেকে বিভিন্ন ইনফরমেশন ইন্সার্ট করতে হবে। এই পার্টটায় একটু Complex Sentence (অবশ্যই কারেক্ট ফরমেটে) লিখলে মার্ক ভাল আসবে। উদাহরণের জন্য বই এর পিছনের সলিউশনের Examiner দের স্যাম্পল Answer দেখলে ধারনা পাওয়া যাবে।
- SPEAKING: এই পরীক্ষাটা অন্য ৩টা পরীক্ষার আগে বা পরে যেকোন এক দিন আলাদাভাবে নেয়া হয়। এই পার্টে সাধারণত ৩টা পার্ট থাকে; প্রথম পার্টে পরীক্ষার্থীর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়ঃ কি নাম, কি করো, কই থাকো, কি খাও, এই পরীক্ষা দিয়ে কোথায় যাবে, কেন যাবে, বাসায় লোক কয়জন ইত্যাদি। এই পার্টের উত্তর গুলো আগে থেকে ঠিক করে নিয়ে গেলে খুব সুবিধা হয়, কারন কিছু কমন প্রশ্নই করা হয়, যেগুলো স্যাম্পল টেস্টেই দেয়া আছে।
- প্রশ্নের উত্তর দেয়া উচিত ফুল সেন্টেন্সে, পরিষ্কার উচ্চারণে, বিস্তারিতভাবে। স্পিকিং টেস্টের উল্লেখযোগ্য ট্রিক হল পরীক্ষকের চেয়ে বেশি কথা বলতে হবে , শুদ্ধভাবে। যেই প্রশ্নই করুক, প্রাসঙ্গিক বিস্তারিত দিলে ভাল। স্পিকিং এ FLUENCY ভাল স্কোর এড করে। FLUENCY র জন্য অনুশীলনের আর কোন বিকল্প নাই। কথা বলতে গিয়ে আটকিয়ে যাওয়া কমাতে যতটা সম্ভব ইংলিশে কথা বলে (একা একা বা কারো সাথে) প্র্যাকটিস করা উচিত।
- ২য় পার্টে একটা কাগজে একটা টপিক দেয়া থাকে , সাথে কিছু রিলেটেড পয়েন্ট, ১ মিনিট সময় দেয়া থাকে এই ব্যাপারে ভাবতে, তারপরে এই টপিকের উপর ১ঃ৩০-২ মিনিটের একটা স্পিচ দিতে হয়। অনেকটা উপস্থিত বক্তৃতার মত। শুনতে ভয়ঙ্কর শুনালেও যেহেতু কিছু পয়েন্ট দেয়া থাকে তাই খুব একটা কঠিন না কাজটা, যদি আগে কয়েকবার স্যাম্পল টেস্ট দেখে প্র্যাকটিস করা হয় খুবি ভালো হয়।
- ৩য় পার্টে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয় যেগুলো পরীক্ষকের চয়েসের উপর নির্ভর করে। তাই এই পার্টে প্রিপারেশন নেয়ার তেমন কোন স্পেসিফিক রুলিং নাই। স্যাম্পল টেস্ট দেখে কয়েকটা প্র্যাকটিস করা যেতে পারে।
স্পিকিং পার্টের জন্য অনলাইনে কিছু ভিডিও দেখা যেতে পারে। নিচের বইটি ডাউনলোড করে পড়লে উপকার পাবেন।
http://www.mediafire.com/view/jz7r9qlkz8jlspe/101_Helpful_Hints_for_IELTS.pdf
TO BE CONTINUED....
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment